চিত্রকাব্য-১

 


যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,

সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,

যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,

যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গ নামিয়া,

মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,

দিক্‌-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা—

তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,

এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

 

 এ নহে মুখর বনমর্মরগুঞ্জিত,

 এ যে অজাগরগরজে সাগর ফুলিছে।

এ নহে কুঞ্জ কুন্দকুসুমরঞ্জিত,

ফেনহিল্লোল কলকল্লোলে দুলিছে।

কোথা রে সে তীর ফুলপল্লবপুঞ্জিত,

কোথা রে সে নীড়, কোথা আশ্রয়শাখা!

তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,

 এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

 

এখনো সমুখে রয়েছে সুচির শর্বরী,

ঘুমায় অরুণ সুদূর অস্ত-অচলে!

বিশ্বজগৎ নিশ্বাসবায়ু সম্বরি

 স্তব্ধ আসনে প্রহর গনিছে বিরলে।

সবে দেখা দিল অকূল তিমির সন্তরি

 দূর দিগন্তে ক্ষীণ শশাঙ্ক বাঁকা।

 ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,

  এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

 


ঢাকা মেট্রো রেলের সময়সূচী,টিকেটের মূল্য এবং লাইভ ট্রেনের সময়

 ঢাকা মেট্রোরেল ঢাকায় দিন দিন জনপ্রিয়  হতে চলছে। যানজট এড়িয়ে দ্রুত চলাচলের জন্য মেট্রোরেল এখন সবার পছন্দ। ঢাকাবাসীদের সুবিধার জন্য নীচে  ঢাকা মেট্রো রেলের সময়সূচী (metro rail time schedule 2024) ,টিকেটের মূল্য(metro rail fare) এবং লাইভ ট্রেনের সময় (metro rail live status) এর লিংক দেওয়া হলো:


পবিত্র রমযান মাসে ঢাকা মেট্রোরেলের সময়সূচী (The Dhaka Metro Rail time schedule) 🕰


 ১৫ রোজা পর্যন্ত মেট্রারেলের সময়সূচীতে কোন পরিবর্তন নেই। তবে ১৫ রোজার পর 

মতিঝিল থেকে উত্তরার দিকে শেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে রাত ৯:৪০ মিনিটে।

উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে শেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে ৯:২০ মিনিটে।

শেষ ১৫ দিন ট্রেন সময় এক ঘণ্টা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে  ।

ঈদের দিন ট্রেন চলবে না।   
হালনাগাদ:১১-০৩-২০২৪ ইং বিকাল ৪:৪১

সূত্র:  প্রথম আলো  

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

🕚লাইভ ট্রেন সিডিউল 🔗

🕒আজকের টাইমটেবিল  🔗

🕣সম্পূর্ণ টাইমটেবিল 🔗

--------------------------------------------------------------------------------------------------------

 মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ টাইমটেবিল

সাপ্তাহিক বন্ধ :  শুক্রবার

রবি থেকে বৃহস্পতিবার

 সকাল ৭:১০ থেকে সকাল ১১:০০ ( পিক আওয়ার)-প্রতি ১০ মিনিট

সকাল ১১:০১ থেকে বিকাল ৪:০০ ( অফ পিক)-প্রতি ১২ মিনিট

বিকাল ৪:0১ থেকে রাত ৮:৪০ ( পিক আওয়ার)-প্রতি ১০ মিনিট

শনিবার

 সকাল ৭:১০ থেকে সকাল ১১:০০ ( অফ পিক)-প্রতি ১২ মিনিট

সকাল ১১:০১ থেকে রাত ৮:৪০ ( পিক আওয়ার)-প্রতি ১০ মিনিট

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------

 এক ষ্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের মুল্য নির্ণয়   💸

ষ্টেশন মানচিত্র 

 

অমর একুশে বই মেলা : একাল-সেকাল

 ২৬-০২-২৪ । শবে-বরাতের পরের দিন। সকাল হতে মনটা বেশ উড়ু উড়ু। বই মেলা শেষ হয়ে আসছে, অথচ এখনো যাওয়া হয়নি। একটা সময় পিতার শিক্ষকতার কারনে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতাম। ১৯৮২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমার পদচারনা ছিল ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বরে। 

বই মেলা শুরু হলে, প্রতি বিকেলেই আমার গন্তব্য ছিল বাংল একাডেমি। আগে মেলা বসতো বাংলা একাডেমী চত্বরে। বেশ জমজমাট ছিল বই মেলা। নামী-দামী লেখক,প্রকাশক আর অগুন্তি পাঠকের সমাগম মাতিয়ে রাখতো বই মেলা। বট গাছের নিচে এবং তার পাশে সামিয়ানার নিচে স্টেজে গান,নাটক, কবিতা আবৃত্তি চলতো বিকেল থেকে মেলা শেষ না গওয়া পর্যন্ত। 

অমর একুশে বই মেলা,বাংলা একাডেমী চত্বর  ২১/০২/২০১২

প্রখ্যাত সাহ্যিতিক হুুমায়ূন আহমেদ যে ষ্টলে বসতেন,সেখানে উপচে পড়া ভীড়। অটোগ্রাফ শিকারীদের কবলে তিনি। হুমায়ূন আহমেদ মেলায় আসতেন পুলিশ প্রহরায়। এদিক দিয়ে হয়তো দেখা গেল কবি নির্মলেন্দু গুন হেটে চলছেন কাধে ঝোলা নিয়ে।  পিছনে ভক্তকুল। 

 

কবি নির্মলেন্দু গুন,বই মেলা ২০১০



অটোগ্রাফ প্রদানরত লেখক ইমদাদুল হক মিলন
এদিক ওদিক তাকালে দেখা যেত সদাহাস্য শিশু সাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন কোন বেসরকারী  টিভি চ্যানেলের  মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কোন উঠতি লেখক বা কবির সাক্ষাৎকার নিতে ব্যস্ত। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসূল হককে মেলায় দেখেছি প্রায় প্রতিদিন। লিটল-ম্যাগ চত্বরে  তরুণ কবিদের আড্ডা ছিল  দেখার মতো। প্রয়াত কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন ছিলেন প্রায়ই আড্ডার মধ্যমনি।

বাংলা একাডেমী চত্বরে বইমেলা ২০১২ 
 

 

বই মেলা ২০১০,বাংলা একাডেমি চত্বর
কিছু কিছু যুবকেরা বিকেল থেকে ভীড় করতো শুধু সুন্দরী ললনাদের দেখার জন্য। অকাতরে প্রেম নিবেদন চলতো। হাতের মুঠোয় গুজে দিতো ভালোবাসার বানীসহ টেলিফোন নম্বর।  কারো কারো ভাগ্যে হয়তো শিঁকে ছিড়তো। অনেকেরই প্রেমের সূচনা এই বইমেলা। পুরো শহর যেন ভেঙে পড়তো পহেলা ফাল্গুন,ভালবাসা দিবস আর একুশ তারিখে। তিলধারণের জায়গা নাই।

অমর একুশে বইমেলা,২০২৪

সেই এক সময় ছিল! মেলা শুরু হতো টিএসসি থেকে। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি বইয়ের ষ্টল।  ডিভাইডারে বসেছে নানা শ্রেনীর হকার। ফুটপাতে বসেছে নীলক্ষেতের খুচরা বই বিক্রতারা । ভারতীয় লেখকদের নকল প্রিন্টের বই বিক্রি হচেছ দেদারসে। ‘ দ্যাইখ্যা লন-বাইচছ্যা লন-বিশ টাকা,বিশ টাকা’-বলে হকাররা বিক্রি করছে নানা তৈজস সামগ্রী। ফুটপাতের এক কোনায় বসেছে ইয়া মস্ত বড়ো বড়ো চিংড়ি মাছের মাথার ফ্রাই। এটা যারা খান নাই,তারা বুঝবেন না এর কি স্বাদ! কতদিন শুধু এই ফ্রাই খাওয়ার জন্যই চলে গিয়েছি একা একা। আজকের বার্গার,চিকেন ফ্রাই এর কাছে নস্যি। 

মেলার বাইরে ফুটপাতে ভারতীয় লেখকদের বই। ২০১০

ফুটপাতে হকারদের পণ্যসম্ভার